হোম আমাদের সম্পর্কে জেলা বিচার বিভাগের ইতিহাস
মহানগর দায়রা জজ আদালত, সিলেট এর ইতিহাসঃ
সিলেট ২০০৯ সালের মার্চ মাসে একটি মেট্রোপলিটন শহরের মর্যাদা লাভ করে। সুরমা নদীর তীরবর্তী এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ শহরটি দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত। সিলেট অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত হয়। ক্রমবর্ধমান শহরে মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও বিচারিক সুবিধা সহজলভ্য করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সিলেট মহানগরে একটি মহানগর আদালত প্রতিষ্ঠা করে।
৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি খ্যাত সিলেট নগরী বর্তমানে একটি মেগা সিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সিলেট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভবনের ২য় তলায় মাননীয় মহানগর দায়রা আদালত সহ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালত ১ টি ও যুগ্ম মহানগর দায়রা আদালত ২টি নিয়ে মহানগর বিচার বিভাগের কার্যক্রম শুরু করা হয়। সিলেট মহানগর এলাকার সকল ধরণের ফৌজদারী মামলার আপীল, রিভিশন ও কিছু মামলার আদি এখতিয়ার হিসেবে মহানগর দায়রা আদালত সহ অধীনস্থ আদালতগুলো কাজ করে থাকেন। মহানগর দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রয়াত মাননীয় মহানগর দায়রা জজ জনাব আকবর হোসেন মৃধা মহানগর দায়রা আদালতের পদ অলংকৃত করেন। পরবর্তীতে প্রয়াত মফিজুর রহমান ভূইয়া, সাবেক ডিজি (লিগ্যাল), দুর্নীতি দমন কমিশন, মাননীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে জনাব মোঃ আব্দুর রহিম মহোদয় মহানগর দায়রা আদালতের দায়িত্ব পালন শেষে রাজশাহীর বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলী হন। পরবর্তীতে জনাব এ.কিউ.এম নাছির উদদীন মহোদয় মহানগর দায়রা জজ আদালতের দায়িত্ব পালন শেষে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে বদলী হয়। বিগত ০২/০৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ জনাব মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, মহানগর দায়রা জজ, সিলেট হিসেবে যোগদান করেন।
মহানগর দায়রা আদালতের অধীনস্থ চীফ মেট্রোপটিলন ম্যাজিস্ট্রট আদালত একই দিন ও তারিখে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা তথা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ টি থানার (কোতয়ালী থানা, শাহপরাণ থানা, মোগলাবাজার থানা, দক্ষিণ সুরমা থানা, এয়ারপোর্ট থানা এবং জালালাবাদ থানা) জনগণের কাঙ্খিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিগত ১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসীর যাত্রা শুরু হয়। মোট ৫ টি বিচারিক আদালত, ৬ টি আমলী আদালত, ১ টি দ্রুত বিচার আদালত, ১ টি বন আদালত এবং ১ টি পরিবেশ আদালত নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসী গঠিত হয়। আদালত সমূহের বিচারকদের মধ্যে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের একজন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) হিসাবে এবং একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ছিলেন জনাব এ.বি.এম জহিরুল গণি চৌধুরী। পরবর্তীতে জনাব মোঃ সাইফুজ্জামান হিরো, জনাব মোঃ আবুল কাশেম এবং মোঃ আমিরুল ইসলাম মহোদয়ের পর বর্তমানে জনাব শাহরিয়ার আরাফাত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত আছেন। তাছাড়া বিচার বিভাগের ৩ জন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট-কে প্রতিটি মেট্রোপলিটন আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এমএম) হিসাবে পদায়ন করা হয়। আদালতের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং জনগণকে আদালত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৬ টি বিভাগ রয়েছে। নেজারত বিভাগ, হিসাব বিভাগ, অনুলিপি বিভাগ, রেকর্ড বিভাগ, ষ্টোর বিভাগ, লাইব্রেরী বিভাগ। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে সহায়ক কর্মচারীগণ নিয়োজিত রয়েছেন।
সংকলনেঃ
সাইফুর রহমান, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ১ম আদালত
শারমীন খানম নীলা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ৩য় আদালত
মোঃ সুমন ভূইয়া, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ১ম আদালত
উম্মে হাবিবা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ৩য় আদালত